👉আখরোটের গুণাবলি:

✅ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ: হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।

✅অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে।

✅প্রোটিন ও ফাইবার: শরীর গঠনে এবং হজমে সহায়তা করে।

✅ভিটামিন ও খনিজ: যেমন ভিটামিন E, B6, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস।

👉আখরোটের উপকারিতা:

✅হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে: কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

✅মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে: স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, মানসিক চাপ কমায়।

✅ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়।

✅ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়: ভিটামিন E এবং ওমেগা-৩ ত্বক মসৃণ রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

✅ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: ক্ষুধা কমায় এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।

🍽️আখরোট খাওয়ার সঠিক নিয়ম:

✔️পরিমাণে খাওয়া উচিত: প্রতিদিন ৩-৪টি আখরোট খাওয়া যথেষ্ট। অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে কারণ এতে ক্যালোরি বেশি।

✔️ভেজানো আখরোট খাওয়া উত্তম: রাতে ৩-৪টি আখরোট পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।সকালে খালি পেটে খেলে হজম ভালো হয় ও পুষ্টিগুণ সহজে শোষিত হয়।

✔️খালি পেটে খেলে ভালো উপকার মেলে: সকালে খালি পেটে খেলে শরীর ডিটক্স হয় এবং মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে।

✔️রান্নায় ব্যবহার: সালাদ, ওটস, স্মুদি, বা দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন,ডেজার্ট বা কেকেও ব্যবহার হয়।

✔️বাচ্চাদের জন্য: আখরোট গুঁড়ো করে দুধে মিশিয়ে দেওয়া যায়,ছোটদের জন্য আধা বা ১টি করে দেওয়া ভালো।

👉আখরোট সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম:

🔷খোসাবিহীন আখরোট (Shelled): এয়ারটাইট কন্টেইনারে রাখতে হবে,ফ্রিজে রাখলে ৬ মাস, ফ্রিজারে (ডিপ ফ্রিজ) রাখলে ১ বছর পর্যন্ত ভালো থাকে।

🔷খোসাযুক্ত আখরোট (Unshelled):ঠান্ডা, শুষ্ক ও অন্ধকার স্থানে রাখুন,সাধারণ তাপমাত্রায় ২-৩ মাস ভালো থাকে।

🔷আর্দ্রতা ও গরম থেকে দূরে রাখুন:ভেজা বা গরম জায়গায় রাখলে সহজেই নষ্ট হয়।

🔷গন্ধযুক্ত খাবার থেকে দূরে রাখুন:আখরোট আশেপাশের গন্ধ শোষণ করতে পারে, তাই পেঁয়াজ-রসুন থেকে দূরে রাখুন।

🔷কাচের বোতল বা জিপলক ব্যাগে রাখুন:এগুলোতে রেখে ফ্রিজে রাখলে আখরোট অনেকদিন ভালো থাকে।