👉কাঠ বাদামের গুণাবলী:

✅প্রোটিন ও ফাইবারে সমৃদ্ধ – দেহ গঠনে সহায়তা করে ও হজমে সাহায্য করে।

✅স্বাস্থ্যকর ফ্যাট  – হৃদয় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

✅ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন ও কপার – হাড় মজবুত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তস্বল্পতা রোধে সহায়ক।

✅অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ – কোষের ক্ষয়রোধ করে ও বার্ধক্য বিলম্বিত করে।

👉কাঠ বাদামের  উপকারিতা:

✅হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় – স্বাস্থ্যকর চর্বি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমায়।

✅ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে – সঠিক পরিমাণে খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।

✅ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায় – ত্বক উজ্জ্বল ও তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

✅চোখের জন্য ভালো – এতে থাকা জিয়্যানথিন চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।

✅মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় – নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যক্ষমতা উন্নত করে।

🍽️কাঠ বাদাম খাওয়ার সঠিক নিয়ম:

✔️প্রতিদিন কতটা খাবেন:

●একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৫-১০টি কাঠ বাদাম (প্রায় ২৫-৩০ গ্রাম) যথেষ্ট।

● অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে, কারণ এতে ফ্যাট ও ক্যালোরি বেশি থাকে।

✔️খালি পেটে না খাওয়াই ভালো :

● অনেকেই সকালে খালি পেটে বাদাম খান, তবে কাঠ বাদাম খাওয়ার আগে কিছু খেয়ে নেওয়াই ভালো। এতে হজম সহজ হয়।

✔️ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা :

● কাঠ বাদাম রাতে পানিতে ভিজিয়ে সকালে খেলে এটি আরও সহজে হজম হয় এবং এর এনজাইম ইনহিবিটারস কমে যায়।

● ভিজিয়ে খাওয়ার ফলে পুষ্টিগুণ আরও ভালোভাবে শরীরে শোষিত হয়।

✔️ভাজা বাদে কাঁচা বা হালকা টোস্ট করে খাওয়া ভালো :

● বেশি তেলে ভাজা বাদামে অতিরিক্ত ফ্যাট ও লবণ থাকে, যা স্বাস্থ্যহানিকর।

● কাঁচা বা হালকা শুকনো টোস্ট করা বাদাম খাওয়া উত্তম।

✔️শিশু ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য :

● শিশুদের জন্য অল্প পরিমাণে (১-২টি) দিয়ে শুরু করুন।

● ডায়াবেটিস থাকলে চিনি মেশানো বা কারামেলাইজড কাঠ বাদাম এড়িয়ে চলা উচিত।

👉সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম :

🔷 বাতাসবন্ধ পাত্রে রাখুন – যাতে ভেজা না লাগে ও গন্ধ না ধরে।

🔷ঠাণ্ডা ও শুকনো জায়গায় রাখুন – রোদ ও আর্দ্রতা থেকে দূরে।

🔷ফ্রিজে রাখা যায় – দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চাইলে ফ্রিজে রাখতে পারেন।

🔷সরাসরি রোদে নয় – এতে তেল অক্সিডাইজ হয়ে স্বাদ ও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।